Hey Sona!!
কেমন আছো তুমি? কতদিন দেখি না তোমার রিনিঝিনি হাসি? আমার বুক কেঁপে যায়, উত্তাল হয়ে ওঠে। ছটফট করে ওঠে হ্রদয়। ছুটে যেতে ইচ্ছে হয় তোমার কাছে। তোমার জ্বলন্ত আগুন ছোঁয়া হাতটি ধরে বসতে ইচ্ছে হয় বাঁধের কিনারায়, অথবা সেই রেল লাইনের পাড়ে।
তারপরই ঝেঁকে বসে একরাশ হতাশা। কস্ট, দু:খ, যন্ত্রণা। চোখের কোনে উষ্ণ জল এসে যায়। কিছু কান্না থামানো যায় না। জোয়ারের মত অব্যক্ত বুকের ভিতর থেকে যখন চলে আসে, তখন সত্যিই হেরে যাই।
কত অধিকারে কত কিই না করেছি! গিয়ে হাতটি ধরে, কত দূরে গিয়ে কত না মান ভাংগিয়েছি, নিজের জেদ পুরো করেছি। লোকালয়ে অথবা লোকালয় থেকে বহু দূরে। আজ কোথায় তুমি? কেমন আছো?
ইচ্ছে হয় না, তা তো না। মন চায় না তা তো নয়। তোমাকে কস্ট দিতে ভালো লাগে না। তোমার সামনে দাড়াতেও কেমন সংকোচও করে। কোথায় যেনো জেদও কাজ করে। কোথায় যেনো তোমার উপরও রয়েছে অনেক অভিমান।
ভালো যে বেসেছি তা আজ এতো বছরেও যে একটু যায়নি তা যেনো হারে হারে টের পাই। যৌবনের উচ্ছলতা৷ উন্মত্ততা পেরিয়ে এখন যেনো ভালোবাসার এক উজ্জ্বল হীরের ছটা টের পাই। না পাওয়ার বেদনা, দূরে থাকার কস্ট আমার সে প্রেমকে প্রতিনিয়ত যেনো বিদগ্ধ করে, কস্ট দেয়, উষ্ণ করে তোলে। এখন গোপনে শুধু দীর্ঘশ্বাসগুলোই বাতাসে ভেসে যায়। তোমার কাছে সেসব যায় না আমি জানি। আমাকে ভুলে নিশ্চয়ই খুব ভালো আছো সবকিছু নিয়ে।
তোমাকে তাই আর কস্ট দিয়ে ইচ্ছে হয় না। ইচ্ছে হয় না আমার মানুষটাকেও কস্ট দিতে। তোমাদের দুজনকে নিয়েই যদি থাকতে পারতাম। মেনে নিতে না কেউই। উলটো সব কিছু শেষ হয়ে যেতো। যদি তোমারঅও কস্ট হতো আমাকে পেয়ে? কত না জড়তা। আবার তোমার জড়তাও আমাকে ম্রিয়মান করে তুলেছিলো। ভালোবাসি বলেই, নিজের মানুষ ভেবেই তোমার ক্ষতি হবে তাও পারিনি জোর করতে। অথচ চাইনি তোমাকে হারাতে। পারিনি আমার উপর ভরসা করার মানুষটাকেও হারিয়ে দিতে।
সেদিন এটাই বলতে পারিনি। বলা হয়নি, চলে গেলে। অভিমানে তারপর শুধু না বলা দুরত্বই রয়ে গেলো।